দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে হত্যা ও নির্যাতন করে আন্দোলন দমন করতে গিয়ে সরকার দেশকে চরম সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, প্রতিনিয়তই তারা এই অপরিণামদর্শী কাজ করে নিজেদের ফ্যাসিস্ট চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ করছে।
আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব কুমিল্লা, জামালপুর, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতার ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। ফখরুল অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা শান্তিপূর্ণ গণমিছিলে নিষ্ঠুর হামলা চালিয়ে নিরীহ ছাত্রছাত্রীসহ অসংখ্য মানুষকে আহত করে। ছাত্রীসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
সারা দেশে, গ্রাম-শহরে যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, সন্ত্রাস–হামলা–মামলা দিয়ে চলমান ছাত্র–জনতার আন্দোলন দমানো যাবে না বলেও মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ছাত্র গণ–আন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে গিয়ে সব হত্যা, ধ্বংস, নৈরাজ্য ও সংকটের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার এককভাবে দায়ী। প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে শত শত ছাত্র–জনতাকে এমনকি নিষ্পাপ ছোট্ট শিশুদের মর্মান্তিকভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করে সরকার মানবতাকেই হত্যা করেছে।
ছাত্র-জনতার দাবি মেনে নিয়ে আর একমুহূর্ত দেরা না করে আর কোনো প্রাণ কেড়ে না নিয়ে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আওয়ামী লীগের অন্যায় হুকুম অনুযায়ী ছাত্র-জনতার ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন ও গুলি না চালানোরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।